আগে জানলে যেতাম না: হিরো আলম

পুলিশ অফিসার খুনের চার্জশীট ভুক্ত আসামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে করেছেন সোনার দোকান। সেই দোকান উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান, হিরো আলম, দীঘিসহ আরও অনেকেই। যেটা নিয়ে বইছে সমালোচনা। এ ঘটনার পর ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, ওই খুনের মামলার আসামি ‘আরাভ খান’ সম্পর্কে আগেই জানানো হয়েছিল তাদের। এর পরও সাকিবসহ অন্য সেলিব্রেটিরা সেখানে গিয়ে উদ্বোধনে অংশ নেওয়াটা দুঃখজনক।

হারুন অর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘হত্যা মামলার আসামির দুবাইয়ে জুয়েলার্স উদ্বোধনের বিষয়ে গতকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে। তার পরও সাকিব আল হাসান, হিরো আলম, দীঘিসহ যেসব সেলিব্রেটি উদ্বোধনে অংশ নিলেন তা দুঃখজনক।’ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে এ কথা জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বিডি২৪লাইভকে বলেন, দেখেন আগে যদি জানতাম যে ‘আরাভ খান’ খুনের সাথে জড়িত বা আসামী তার আমন্ত্রণে গেলে সমস্যা হবে তাহলে যেতাম না। আমি ওখানে (দুবাই) যাওয়ার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখেছি সে খুনের আসামী। এরআগেও এরকম অনেক অনুষ্ঠানে গিয়েছি সেই ধারাবাহিকতায় আরাভ খানের ডাকেও গিয়েছি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পরিদর্শক মামুন। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যান। এই মামলায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস জেল খেটে বের হন!

২০২০ সালে রবিউল ভারতীয় পাসপোর্ট পান। যাতে তার নাম বদলে লেখা হয় ‘আরাভ খান’। সেখান থেকে চলে যান দুবাই। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরব আমিরাত সরকার তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। রবিউল এখন সেখানেই আছেন, জুয়েলারি ব্যবসা করছেন। বুধবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন করা হয়।

Back to top button