শোক দিবসে জন্ম নবজাতকের নাম রাখা হলো রাসেল
দীর্ঘ একযুগ পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয়েছে। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের কাচরন্দ এলাকার শারমিন আক্তার ও আমানত মোল্লা দম্পতির ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
সন্তান জন্মের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর সূত্র ধরে ও শিশু রাসেলের সঙ্গে নামের মিল রেখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আমিরুল হক শিশুটির নাম রাখেন শাহাদাৎ হোসেন রাসেল। মা ও শিশু উভয়েই সুস্থ আছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মো. আমিরুল হকের নেতৃত্বে এ অপারেশন টিমে ছিলেন জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী এন্ড অবস) ডা. তৃপ্তি সরকার, জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) ডা. প্রদীপ কান্তি পাল, সহকারী সার্জন ডা. নাজনীন নাহার নীরা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ মো. শরিফ, সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনে আরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৭ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০০০ সালে প্রসূতি সেবা চালু করা হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯টি সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অবকাঠামোগত সব প্রকার সুযোগ সুবিধা থাকার পর অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনী সার্জারি চিকিৎসকের অভাবে গত ১১ বছর সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। তবে নরমাল (স্বাভাবিক) প্রসব বিভাগ চালু ছিল।
নবজাতকের পিতা আমানত হোসেন বলেন, অনেক বছর এই হাসপাতালে কোনো সিজার অপারেশন করা হয় না। তাই আমার স্ত্রীর অপারেশনে একটু ভয় লাগছিলো। তবে আল্লাহর রহমতে ডাক্তার ও নার্সদের সার্বিক সহযোগিতায় সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি সন্তান ও সন্তানের মা উভয়েই সুস্থ আছেন। হাসপাতালের সব ডাক্তার ও নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ আমিরুল হক বলেন, অপারেশনের সব সরঞ্জাম থাকার পরও অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনী চিকিৎসক না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। বর্তমানে গাইনী সার্জারি চিকিৎসক এবং অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক যোগদান করেছে। জাতীয় শোক দিবসের বিশেষ দিনে সিজারিয়ানের মাধ্যমে জম্ম নেয়া শিশু নাম রাখা হয়েছে শাহাদাৎ হোসেন রাসেল। এখন থেকে নিয়মিত সিজার করা হবে।