বগুড়ায় মামী-ভাগিনার বিয়ের ঘটনা এবার বিচারের মুখোমুখি
বগুড়ার নন্দীগ্রামে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় বিধবা মামী ও ভাগিনাকে আটক করে গোপনে সালিশ ও বিয়ের পর মৃত মামার বাড়ি দখলের ঘটনা গ্রাম আদালত পর্যন্ত পৌছেছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচারের আবেদন করেছেন কৈগাড়ী সোনারপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ আলী আসকানের ভাতিজা মিজানুর রহমান। এরআগে একই বিষয়ে গত মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করেন আরেক ভাতিজা। মামী-ভাগিনাসহ বেশ কয়েকজন গ্রাম্য মাতব্বরদের বিবাদী করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বুড়ইল ইউনিয়নের কৈগাড়ী সোনারপাড়া গ্রামের মৃত আসকানের বিধবা স্ত্রী দুই সন্তানের জননী হেনা বেগম (৪৫) ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম মফিজের ছেলে দুই সন্তানের জনক ড্রাইভার আব্দুস সালামের (৩৫) দীর্ঘদিনের পরকিয়া সম্পর্ক। গত ২৫ জুলাই রাতে মৃত আসকানের বাড়িতে শয়ন ঘরে বিধবা মামীর সঙ্গে ভাগিনা অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে গ্রামের কয়েকজন মাতব্বররা তাদের আটক করে গোপনে সালিশের মাধ্যমে বিয়ে দেয়। মৃত আসকানের বাড়িতে বৃদ্ধ মা বসবাস করলেও বর্তমানে ওই দম্পতি সেখানেই অবস্থান করছে। তাদেরকে এবার গ্রাম আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
গ্রামের মাতব্বরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরিবারের কাউকে না জানিয়ে রাতের বেলায় অনুমতি ছাড়াই বহিরাগত ও গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে হট্রগোল, আইন বিরোধী সালিশ ও গোপনে মামী-ভাগিনার বিয়ে দিয়ে মৃত আসকানের বাড়িতেই রাখা হয়েছে। অসামাজিক কর্মকান্ড একটি অপরাধ হলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটাঅংকের টাকার বিনিময়ে আইন বিরোধী গ্রাম্য সালিশ ও সমাজ বিরোধী তৎপরতা চালিয়েছে কথিত গ্রাম্য মাতব্বরা।
এ প্রসঙ্গে বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউর রহমান জানান, গ্রাম আদালতে বিচারের আবেদন করেছে মৃত আসকানের ভাতিজা। অভিযোগ গ্রহণ করে আগামী মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ প্রেরণ করা হচ্ছে। আইনী এবং সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।