গোসলে নিতেই নড়ে উঠল লাশ, স্বজনদের ছোটাছুটি
মুক্তা খাতুন। বয়স ২৬ বছর। অসুস্থ হয়ে শুক্রবার বিকেলে তিনি মারা যান। হাসপাতালে মারা যাওয়ায় লাশ নেয়া হয় বাড়িতে। সন্ধ্যায় দাফনের আগে নেয়া হয় গোসলে। কিন্তু গোসলে নিতেই নড়ে ওঠে লাশটি। ফের দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে লাভ না হলেও এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে জেলাজুড়ে।
২৬ বছরের মুক্তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের পূর্বপাড়ায়। তিনি একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
মুক্তার বোন রত্না খাতুন বলেন, শুক্রবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ্যবোধ করেন মুক্তা। পরে তাকে আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ারে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখানে তাকে ভর্তি রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মুক্তা মারা যান। পরে তার লাশ বাড়িতে নেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, গোসলের জন্য নেয়া হলে হঠাৎ নড়ে ওঠে মুক্তার লাশ। শরীরটা গরম গরম লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাতে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাওয়ারের মালিক মুঞ্জুর আলী বলেন, শুক্রবার সকালে মুক্তা খাতুনকে অসুস্থ অবস্থায় আমাদের এখানে আনা হয়। তাদের পরিবারের লোকজন বলেন, মুক্তা খাতুন চোখে দেখছেন না। তার মাথা ঘুরছে। ডা. শামসুল আলম ও ডা. কামরুন নাহার ওই রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখানেই ভর্তি রাখেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহাবুব এ খোদা বলেন, সন্ধ্যায় মুক্তা খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। আমরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত অবস্থায় পাই। অনেই আগেই তিনি মারা গেছেন বলে তার পরিবারকে জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম বলেন, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর শক্ত হয়ে যায়। সে কারণে মরদেহ স্পর্শ করলে সমস্ত শরীর নড়ে ওঠায় মনে হতে পারে মৃত ব্যক্তি নড়ছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শোনার পর মুক্তা খাতুনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে জানা যায় মুক্তা খাতুন অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক।