বিদায় বেলায় সিইসি নূরুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নামে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন তিনি।
মূলত আইন অনুসারে গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় নূরুল হুদার নামে এ মামলা করা হয়েছে। মামলায় নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
তিনি বলেন, গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে। পরবর্তী সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এই রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশ পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই বৃহস্পতিবার সিইসি কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি আদালত অবমাননা মামলা (নং ৭৮/২০২২) করেন।
উল্লেখ্য, আগামী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নির্বাচন ভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কমিশন সচিবালয় ত্যাগ করবেন তারা। এর আগে আগামী রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনার।