চট্টগ্রাম থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ-লিয়াকত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে করে তাদের নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন।

কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রদীপ ও লিয়াকতকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাইসিকিউরিটি পার্ট-৪ এ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রদীপ ও লিয়াকতকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

Back to top button